ইসরাইলের নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রতিবাদের ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় চলমান ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ পালিত হচ্ছে ‘নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস’ কর্মসূচি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমবেত হন। তারা “ফিলিস্তিনের রক্ত, আমাদের রক্ত”, “ইসরাইলি সন্ত্রাস বন্ধ কর”, “গাজা গণহত্যার বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবি জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,
“আমরা চিকিৎসা নিতে শিখি, কিন্তু গাজায় হাসপাতালে বোমা মারা হচ্ছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
বাড্ডার ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তারা গাজায় নিহত নিরীহ শিশুদের ছবি ধরে ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য,
“আমরা ক্লাস বর্জন করেছি কারণ গাজার শিশুরা আজ মৃত্যুপরীক্ষায়। বিশ্ব নেতারা নীরব, কিন্তু আমরা চুপ থাকব না।”
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান: ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): প্রশাসন ‘নো ওয়ার্ক’ ঘোষণা করে সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যৌথ বিক্ষোভে অংশ নেয় শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC): গাজায় সহিংসতার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ: “যুদ্ধ বন্ধ করো”
ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করেছে। তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
“জাতিসংঘ ও মুসলিম দেশগুলোর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ চাই। গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে হবে।”
ইসরাইলের হামলায় গাজায় ৩৫,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ এটিকে “জাতিগত নির্মূল” বলে অভিহিত করেছে।
আগামী [তারিখ] শাহবাগে বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ চলবে।